জাল সনদে ১১ বছর শিক্ষকতা করছেন ২ জন

১৩ জুন ২০২২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে শিক্ষক পদে চাকরি নিয়ে ১১ বছর ধরে বেতন-ভাতা তুলছেন ২জন। তদন্তে জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও এখনো তারা আছেন বহাল তবিয়তে। যদিও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেনকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত সুপারের সহযোগিতায় তারা বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। ঘটনাটি জেলার বোদা উপজেলার হোসেনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হচ্ছে মো. জামাল উদ্দিন ও মোঃ এহানুল ইসলাম প্রধান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এ মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষকের তিনটি পদ, কৃষি শিক্ষকের একটি পদ, সমাজ বিজ্ঞানের একটি পদে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নেয় ৫ জন, ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি পরিবর্তন হলে সভাপতির বরাবরে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এরপর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) হয়ে সহকারি শিক্ষা পরিদর্শক পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার এস এম মুনজুরুল হক অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন, তিনি জাল সনদের বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি এনটিআরসিএ শিক্ষক কামরুল হাসান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মোশারফ হোসেন, সুরাইয়া বেগম, এহানুল ইসলাম প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেয়। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে তৎকালীন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোসলেম উদ্দিন একই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার সুপারকে নোটিশ দেন।  এদিকে ম্যানেজিং কমিটি ১১ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে সাময়িক ও ১৬ মার্চ চুড়ান্ত বরখাস্ত করে। এদিকে ভারপ্রাপ্ত সুপার কৌশলে তাদের আরো কিছু কাগজ তৈরি করে এমপিওভুক্তির জন্য পুনরায় আবেদন করেন। এরপর তারা এমপিওভুক্ত হন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মোছা.রৌশনারা বেগম জানান, সনদ অর্জন করার পরে তাদের পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বোদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।

 

মো.সম্রাট হোসাইন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর