সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে দেশে। তখন বর্তমান সংসদ সদস্যরা (এমপি) নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। প্রশ্ন উঠেছে সে সময়ে ইসি কী পারবে এমপিদের নিয়ন্ত্রণ করতে? কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন সংসদ সদস্যকে নিয়ন্ত্রণে ইসির সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য বিষয়টি পরিস্কার করেছেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১৩ জুন) সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি পরিস্কার করেন। এদিনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্ট্রারন্যাশনাল (টিআইবি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সিইসি।
সিইসি জানান, নির্বাচনের সময়ে ৩শ’ এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো কি-না, সেটি আমরা জানি না। তবে নিয়ন্ত্রণের কতকগুলো বিষয় আছে। তিনি বলেন- নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। তখন ওনাদের কিছু আচরণ অনুসরণ করতে হবে। তখন দেখা যাবে- আমরা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, অথবা পারবো না। কিন্তু সবার সহযোগিতায় সেই চেষ্টা থাকবে আমাদের।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকে, সেটিই নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালের সরকার নিয়ে বিরোধী দলের তরফ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা বিভিন্ন সরকারের কথা বলা হচ্ছে। এসব বিষয় ইসির না, সাংবিধানিক বিষয়। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হন, তাহলে তারা সেটি দেখবেন।
কাজী আউয়াল জানান, ইসি চেষ্টা করবে নির্বাচনকালীন সরকার যাতে আইন অনুযায়ী আচরণ করে। নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক দল থেকে এলেও এর মন্ত্রীরা সরকারের রাজনৈতিক নেতা হবেন না, হবেন কেবল একজন মন্ত্রী। বাইরে আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য হতে পারেন। কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় এবং সরকারের। সরকার এবং দল এক নয়।
সিইসি বলেন- ভারত, বিলেত, আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হচ্ছে। সরকারটা কিন্তু দলীয় সরকার না, সরকার সরকারই। দল ভিন্ন জিনিস। রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ডেপুটি মিনিস্টারগুলো- এটিই হচ্ছে মূল সরকার। বাকি যারা রয়েছেন, তারা হলেন সাব-অর্ডিনেট সরকার আমলাতন্ত্র বা ব্যুরোক্রেটস। তাই নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আচরণ করবেন, দলীয় মন্ত্রী হিসেবে নয় এমনটাই প্রত্যাশা ইসির- যোগ করেন সিইসি।
এমকে