দ্বিতীয় দফার বন্যায় নাজুক পরিস্থিতি সুনামগঞ্জে

১৬ জুন ২০২২

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় বন্যার দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সাথে বিশ্বম্ভরপুর,তাহিরপুর,ছাতক এবং দোয়ারাবাজারের  সড়ক যোগাযোগ তিনদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের নবীননগর, ওয়েজখালী, হাছননগর, কাজির পয়েনট, ঘোলঘর পূর্ব নতুনপাড়া ও শান্তিবাগ ও সুলতানপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রাস্তাঘাট বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে হাজার হাজার বাসাবাড়ি, দুই শতাধিখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাদি জমি আর শতাধিক মাছের ঘের। বন্যাদূর্গতদের জন্য ছাতক, দোয়ারা ও সদর উপজেলায় মোট ৫০ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আশ্রকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ঘোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার আর ছাতক পয়েন্টে ২২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৫ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড হয়েছে জেলায়। সুরমা নদীর, কুশিয়ারা,যাদুকাটা,বৌলাই নদীসহ নদ-নদীর  পানি বাড়ছে। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ বন্যা দেখা দেয়। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র জানিয়েছেন, জেলায় ১২ হাজার ৮শ’ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১৩০ হেক্টর ও ২ হাজার ৮ শ’ হেক্টর সবজির মধ্যে ১৩০ হেক্টর  বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।  ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪ শ’ পুকুর ডুবে এক কোটি পোনা ও তিনশ’ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে।  ক্ষতির পরিমাণ ১৫কোটি টাকা হবে। জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জেলার ৪ টি পৌরসভা ও ১২ টি উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩২০ মেট্রিক টন জিআরের চাল, নগদ ৯ লাখ টাকা ও বিশুদ্ধ পানীয় ট্যাবলেটসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে । 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর