কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অফিসে কাজে গতি আনতে খোশগল্প আর চা-সিঙ্গারা খাওয়ার ট্রাডিশন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করতে কৃষি অধিদফতরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনে (কেআইবি) এক সেমিনারে এ নির্দেশ দেন। জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষে এ সেমিনার হয়। কৃষিমন্ত্রী দেশে ফলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি কর্মকর্তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করারও নির্দেশনা দেন এ সময়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি অফিসে গেলে ডিজিকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। একজন আরেকজনের রুমে বসে চা খায়। সব ডিজির উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনেকদিন বলেছি। আবারো বলছি, বারি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট), ব্রি (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট), বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) রুমে রুমে বসে চা খাওয়া বন্ধ করে দিন। কেউ কারো রুমে গিয়ে চা-সিঙ্গারা খেতে পারবেন না। সেগুলো একদম আইন করে, অর্ডার দিয়ে বন্ধ করেন। খামারবাড়িতে (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর) কেউ কোন কর্মকর্তাকে চা-সিঙ্গারা খাওয়াতে পারবেন না। একদম চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করেন। তবে বিদেশি কিংবা বড় কোনো উদ্যোক্তা আসলে তাদের আপ্যায়ন করা যাবে বলেও জানান কৃষি মন্ত্রী।
দেশে ফলের উৎপাদন বাড়ানো প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কম। তাই সবাই পুষ্টিসম্পন্ন ফল কিনে খেতে পারে না। আবার একটু বেশি উৎপাদন হলেই বিক্রি করতে পারে না কৃষক। দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে। এখন পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এমকে