বড় বন্যার আশঙ্কা

২০ জুন ২০২২

উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণের কারণে দেশের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে বড় আকারের বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সিলেটাঞ্চলে স্মরণকালে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেখানে সেনাকে পর্যন্ত নামানো হয়েছে। বর্তমানে দেশে ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও এলাকা বন্যাকবলিত হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ১০ দিনের পূর্বাভাসে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে চলতি বছরে বন্যা একটু বড় আকারে হতে পারে- এমনটা আচ করতে পেরে সরকার আগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, দেশে ১০-১২ বছর পরপর এ ধরনের ‘বড় বন্যা’ আসে। বন্যায় মানুষের কষ্ট যেন না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। রোববার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের কৃতী ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন এ সময়।  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে দেশের নীলফামারী, রংপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও পাবনা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নদীগুলোর পানি বাড়ছে, এতে চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ এলাকাগুলো পুরোপুরি বন্যাকবলিত হয়ে পড়তে পারে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও পাবনায় ৭-১০ দিন মেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে। নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাটে ৫-৭ দিন মেয়াদি বন্যা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা বলেন, জুনের শেষ পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি ও উজানের পানি- দুই মিলে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।  পানি খুব দ্রুত বাড়ছে।

ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এ পানি যখন নামবে, তখন মধ্য অঞ্চল; এরপর দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। নিজেও প্রতিনিয়তই বন্যার খোঁজ-খবর রাখছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন- সিলেটে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠান উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। স্যালাইন ও পানির ট্যাবলেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সাথে অন্যান্য ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়া পরবর্তী পরিস্থিতির জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগেরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা ব্যবস্থা যেটাও করা হবে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর