ফরহাদ খান, নড়াইল:
নড়াইল সদর উপজেলায় অপহরণের তিনদিন পর মাদ্রাসাছাত্র আরাফাত শিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে বোড়ামারা গ্রামের জয়নাল মোল্যার বাঁশবাগানে তার মরদেহ ছিল। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় আরাফাত শিকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরাফাত ওই গ্রামের ওবাইদুর শিকদারের ছেলে এবং স্থানীয় পেড়লী দাখিল মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো। আটকরা হচ্ছে বোড়ামারা গ্রামের তহিদ মোল্যার ছেলে ভবঘুরে নাবিল মোল্যা (১৭) এবং ওই গ্রামের সাহিদুল মোল্যার ছেলে ভ্যানচালক মিলন মোল্যা (২১)।
আরাফাতের পরিবার জানায়, গত ১২ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে বের হয় আরাফাত। এরপর নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় ওইদিন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এদিকে গত রোববার সকালে একটি মোবাইল ফোন নাম্বার থেকে আরাফাতের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তার পরিবার। এর মধ্যে পিবিআই সেই মোবাইল ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে সোমবার রাতে নাবিল ও মিলন মোল্যাকে আটক করে।
আরাফাতের বাবা পোল্ট্রি মুরগি দোকানি ওবাইদুর শিকদার বলেন, আমি এ ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করছি। পিবিআই ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শামিম জানান, আটককৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, এ ঘটনায় নাবিল ও মিলন মোল্যাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এছাড়া নাবিলের বাবা তহিদ মোল্যা ও মা ফাতেমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এমকে
ন #