ভোলা প্রতিনিধি:
দ্বীপ জেলা ভোলার ২০ লাখ মানুষ পদ্মা বহুমুখি সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতু উদ্বোধন করবেন। আর এ উদ্বোধন ঘিরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন তারা। উদ্বোধনের পরের দিন যানবাহন চলাচলের জন্য উমুক্ত করে দেওয়া হবে এ সেতু। এতে ভোলার সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হবে, তেমন কমবে সময়ের ব্যবধান।
ভোলাবাসী মনে করছেন, সেতু হওয়ায় পরিবহন ভোগান্তির অবসান হচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প ও কল-কারখানা। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে শুরু হবে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য। ভোলার মানুষের ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে এ সেতু। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভোলার মানুষের জীবনমানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে সেতুটি। এ সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যতের হাতছানি দেখছেন এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষ। এ সেতু ভোলার শুধু শিল্প খাতেই নয়, সুফল পাওয়া যাবে কৃষি খাতে ও পর্যটন খাতেও।
ভোলার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ভোলার অর্থনীতির চেহারা অনেকটা বদলে যাবে। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এতে মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো উন্নত হবে।ভোলার বাস মালিক সমিতির নেতারা বলেন, এ সেতুর মাধ্যমে ভোলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিরামহীন এবং নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ হচ্ছে। উত্তর-দক্ষিণ কোনো ভাগ থাকবে না। আগে এসব অঞ্চলের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী আনা-নেয়ায় যে সংকট ছিল, তা পদ্মা সেতু হওয়ায় দূর হয়েছে। ফেরি ঘাটে যানজটে পড়ে মালামাল পঁচে যাওয়া বা দুর্যোগে লঞ্চ আসতে না পারায় ক্ষতি- সব মিলিয়ে সব সংকট দূর হয়ে যাচ্ছে।
ভোলা জেলা সামাজিক ব্যত্তিত্ব মোস্তাক শাহীন বলেন, আমাদের ভোলাবাসীর জন্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে।
ভোলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণ অঞ্চলের বিশেষ করে ভোলা পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ভোলা পৌর সভার মেয়র মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভোলার অর্থ-সামাজিক, শিল্প ,পর্যটন শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ভোলার মানুষ সুফল ভোগ করবেন।
এমকে