২৫ জুন (শনিবার) উদ্বোধন করা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এ অবকাঠামো আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে যান চলাচলের জন্য এ সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর তখন থেকে গোটা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ শুরু হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের।
এদিকে উদ্বোধনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সেতুর দুই পাড়ের মানুষ ভাসছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। বন্যাকবলিত জেলা ছাড়া সারা দেশের মানুষ উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সম্প্রচার দেখতে পারবেন পুরো দেশবাসী।
অন্যদিকে উদ্বোধন ঘিরে সেতু এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলেও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জনসভার মঞ্চে পদ্মা নদী ও সেতুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় মহাসড়ক তথা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ছেয়ে গেছে রঙবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুনে। সেতুর দুই প্রান্তের সড়ক-মহাসড়ক, রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও অলিগলি ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড আর তোরণে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে সেতু এলাকায় রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়া প্রান্তে সকাল ১০টায় সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন। পরে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে টোল দিয়ে সেতু পার হবেন। জাজিরা প্রান্তে এসেও পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করবেন। উদ্বোধন শেষে জনসমাবেশে যোগ দেবেন।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জেলা প্রশাসনের আশা এ সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি জনসমাগম হবে।
এমকে