পদ্মা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পরে দেশে প্রতি বছর ০.৮৪ শতাংশ দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু অনন্য অবদান রাখবে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন ১.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে দেওয়া বাণীতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ জুন (শনিবার) এ সেতু যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের দিনে এ বাণী দেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণীতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনটিকে বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাণীতে চ্যালেঞ্জিং পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরাপত্তা তদারকিতে নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও নির্মাণ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিবাদন জানান। আর সেতুর দুই প্রান্তের জনগণ জমি প্রদানের মাধ্যমে এবং নানাভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করায় তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জানান, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সেতু দুর্নীতিমুক্ত বীৱেৱ জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বজ্রকন্ঠে উচ্চারিত— ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’- এ চিরপ্রেরণার বাণীতে উজ্জীবিত হয়ে আমরা প্রমাণ করেছি- আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা।দেশের অর্থনীতিতে এ সেতু কতটা অবদান রাখবে আর দক্ষিণাঞ্চের ২১ জেলার মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রায় কতটা ভূমিকা রাখবে তাও বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এমকে