কয়েক দিন ধরে দেশে আবারো করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ এমনকি বুষ্টার ডোজ নেওয়ার পরও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। একের নিচে চলে আসা দৈনিক সংক্রমণের হার ইতোমধ্যেই ১৫ ছাড়িয়ে গেছে। তবে করোনা রোগীর মৃত্যু বলতে গেলে না ঘটলেও ঊর্ধ্বগতির এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তায় পড়েছে। চিন্তিত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন খোদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (২৬ জুন) রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবিতে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঊর্ধ্বগতির এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন থেকেই বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় আনায় সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। মৃত্যুর হারও নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ ভালো ব্যবস্থা নিয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কলেরা ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে ঢাকার সংক্রমণপ্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ সব বয়সী মানুষকে প্রথমবারের মতো ওরাল ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমকে