সড়কের উন্নয়ন কাজে ধীরগতি, জনভোগান্তি চরমে

২৯ জুন ২০২২

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি বাগেরহাটের রামপাল সদর ইউনিয়নের তেতুলিয়া ব্রীজ- কাদিরখোলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক সড়কের উন্নয়নের কাজ। বছরের পর বছর কাজ বন্ধ থাকলেও উন্নয়ন কাজের উপকরণ ও মালামাল যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার ধারে৷ এতে যাতায়াতে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, এলাকাবাসী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কাজ এগোচ্ছে না।

রামপাল এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়,  ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিইডি উন্নয়ন প্রকল্প সড়কটির উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। নলছিটি ঝালকাঠির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিন্স এন্ড কোং কার‌্যাদেশ পায় ৷ ওই কাজের চুক্তি মূল্য ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২ শ ৩৭ টাকা নির্ধারন করা হয় ৷  চুক্তিপত্রে ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু  ২০১৯ সালের শেষের দিকে সড়কটি কিছুটা খুঁড়ে তার উপর খোয়া ফেলা হয়। এরপর থেকেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ বারবার তাগাদা দিলেও একই অবস্থায় পড়ে আছে সড়কটি ৷

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, শুধু জুন মাস আসলেই  কিছু নিম্নমানের খোয়া ফেলে রেখে ঠিকাদারের লোকজন উধাও হয়ে যায়৷ এ জন্য বর্ষাকালে এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগের মুখে পড়তে হয় ৷ কাজের বিল তোলার জন্যই নির্দিষ্ট সময়ে এভাবে খোয়া ফেলা হয় বলে মনে করেন তারা।  এ বিষয়ে প্রিন্স এন্ড কোং এবং সাব কন্ট্রাকটর মিলনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি ৷

রামপাল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলজার হোসাইন বলেন, কাজের এ রকম অবস্থা দেখে আমরা বেশ কয়েকবার তাগেদাপত্র দেই ৷ তাতে তারা কাজ শুরু করে, আবার বন্ধ করে দেয় ৷ পরবর্তীতে আবারও তাগেদপত্র দিলে তারা সম্প্রতি মালামাল নিয়ে এসেছে। এবার দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছে ৷ কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো ৷

অমিত পাল/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর