প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বুধবার (২৯ জুন) এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়। বিরোধীদলের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন এ প্রশ্ন করেন।
মূল্যস্ফীতি এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দ্রব্যসামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার অবনতি ঘটে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে দেশে দ্রব্যসামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সরবরাহ অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
বৈশ্বিক মূদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, গত মে মাসে বৃটেনে ৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ শতাংশ, ভারতে ৭.৯ শতাংশ এবং তুরস্কে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। এ সময়ে দেশে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং গড় মূল্যস্ফীতি ৬.২ শতাংশ হয়। তার সরকার চেষ্টা করছে অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখতে।
ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান,দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদন হয় মাত্র দুই লাখ মেট্রিক টন। বাকি ১৮ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয় চাহিদার যোগান দিতে। আমদানিনির্ভর হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পেলে দেশের বাজারেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে, সেসব দেশে কোন কারণে পণ্য আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও দেশীয় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ কারণেই ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে থাকে।
এমকে