পাকিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করছে। এরই মধ্যে দেশটিতে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের প্রতিবাদে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী শহর করাচিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। খবর জিও টিভির।
এরই মধ্যে পাকিস্তান ন্যাশনাল ইনফরমেশন টেকনোলজি বোর্ড (এনআইটিবি) ঘোষণা দিয়েছে, যেকোনো সময় দেশের মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ঘোষণায় কার্যতই বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
টুইটারে এক বিবৃতিতে এনআইটিবি জানিয়েছে, ‘দীর্ঘ সময় দেশে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। তাই এ পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে টেলিকম অপারেটরগুলি।’ এখানেই শেষ নয়। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ‘জুলাইয়ে দেশে লোডশেডিং আরও বাড়বে। কারণ পাক সরকার বিদ্যুৎ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাচ্ছে না।’
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল বলেন, কাতার থেকে আগামী পাঁচ বা ১০ বছরের জন্য এলএনজি কেনার চুক্তির চেষ্টা চলছে।
জুলাইয়ে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যা গত ছ’ বছরে সর্বাধিক। তারমধ্যে চলছে তাপপ্রবাহ। সে কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই চাহিদা মেটানোর জন্য করাচিসহ বেশ কিছু শহরে কারখানা, সরকারি দফতর থেকে শপিং মল সময়ের আগে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।