দেশে শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে হবে, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য রাষ্ট্রকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। সম্প্রতি দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা বাড়ছে, এমনকি নিজের ছাত্রের পিটুনীতে মারা গেছেন এক শিক্ষক- ‘অব্যাহত শিক্ষক নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে’ এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। শনিবার (২ জুলাই) বিকালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বক্তারা বলেন, যে শিক্ষার্থী তার শিক্ষককে খুন করে, সেই প্রকৃত খুনি। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষককে খুন করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সমাবেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক এম এম আকাশ, বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল,ডক্টরস অ্যান্ড হেল্থের সভাপতি ডা. এম এইচ ফারুকী, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, প্রজন্ম একাত্তরের সাধারণ সম্পাদক আসিফ মুনির, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, কবি কামরুজ্জামান, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক দোলন সাহা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জানান, দেশকে মেধাশূন্য করতে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীকে নাস্তিক, মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। কারা চালিয়েছে- সবাই দেখেছি। কিন্তু পুলিশ বললো, সব মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো মিটমাটের বিষয় নয়। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য এসব করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, আমাদের সমাজ আমাদের হাতে নেই। না হলে রতন সিদ্দিকীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল বলেন, আজকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক স্বপন কুমারের গলাতেই কেবল জুতার মালা দেয়নি, দিয়েছে আমার ও আপনাদের গলায়। অথচ এদিকে কোনো দৃষ্টি নেই সরকারের। তিনি বলেন, আমাদের যদি মেরে ফেলেন, তাতে লাভটা কী? আমি বিজ্ঞান চর্চা করি, ধর্মের প্রতি কটুক্তি করি না। আমাদের মেরে ফেললে আপনাদের সন্তানরা বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
এমকে