প্রায় ২৫ বছর ধরে এভাবেই তৈরি হচ্ছে গুড়

১৪ জানুয়ারী ২০২২

সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড়:

মাঠ থেকে আনা আখ ভাঙানো হচ্ছে পাওয়ার কেশার মেশিনে। মেশিনের এক পাশ থেকে বের হচ্ছে রস, অপর পাশে উচ্ছিষ্ট। ওদিকে পাশাপাশি রয়েছে কয়েকটি চুলা। বের হওয়া সেই রস দেওয়া হচ্ছে চুলায় রাখা কড়াইয়ে, টগবগ করে ফুটছে আগুনে। রস লাল হয়ে এলে এক চুলা থেকে দেওয়া হচ্ছে আরেক চুলায়।  এভাবেই তৈরি হচ্ছে আখের রস থেকে গুড়। সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মালিগাঁও ছিয়াশিপাড়ায় গুড় তৈরির এক কারখানায়। প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই কারাখানায় এভাবেই গুড় তৈরি হচ্ছে।

শীত মৌসুমে আখের রস থেকে তৈরি এ গুড় স্থানীভাবে লালী নামেই পরিচিত। সুস্বাদু এ লালী এলাকার ঐতিহ্যের একটি। সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আবাদ হয় এ  আখ।

কারাখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, রস ৫-৬ ঘণ্টা ফুটানোর পর পাওয়া যায় গুড়। প্রতি ১০ কেজি আখ থেকে ১ কেজি গুড় পাওয়া যায়। প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কেজি গুড় উৎপাদন হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা প্রতিকেজি গুড় ৮০ টাকা দরে কিনে নেয়, খুচরায় ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

কারখানার বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক জানান, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ কারখানায় গুড় তৈরি হয়। কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে ছয়টি পরিবারের। কারখানার মালিক উসমান গনি জানান, এ গুড় এলাকার লোকজন পিঠা-পায়েস, সেমাই-সুজিসহ মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করেন।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর