যুক্তরাষ্ট্রে ফের কৃষ্ণাঙ্গ-হত্যা

০৩ জুলাই ২০২২

ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছিলেন চালক। পুলিশ বলা সত্ত্বেও গাড়ি থেকে নামেননি। উল্টে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ ৬০টিরও বেশি গুলিতে জেল্যাল্ড ওয়াকারকে ঝাঁঝরা করেছিল পুলিশ। তাদের অবশ্য দাবি, গুলি চালিয়েছিলেন ওয়াকারও।

 

আমেরিকায় শেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধ বহু দিনের। শেতাঙ্গদের হাতে বহু কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আবারো সাদা চামড়ার পুলিশের হাতে কালো চামড়ার মানুষের হত্যার ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে দেশটির ওহায়ো প্রদেশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ও মেয়র। পুলিশ কমিশনার স্টিভ মাইলেট বলেছেন, ‘‘ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না।’’ একই বার্তা দিয়েছেন মেয়র ড্যান হরিগ্যানও।

 

 

উত্তর-পূর্ব আমেরিকার ছোট্ট শহর অ্যাক্রনে গত রোববার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আক্রন পুলিশের দাবি, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। পুলিশ সেটির পিছু নেয়। চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলে তারা। কিন্তু পুলিশের দাবি, গাড়ির ভিতর থেকেই গুলি ছোড়েন চালক। তারপর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন।

 

পুলিশের বিবৃতি অনুয়ায়ী, ‘‘পালানোর সময়ে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, ফের গুলি চালাতে পারে। তাই আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই।’’ ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৫ বছর বয়সি জেল্যান্ড ওয়াকার। পেশায় ডেলিভারি বয় জেল্যান্ড শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের, জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়েরা।

 

কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, বা পরেও গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিল, সে বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়নি। তার সঙ্গে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, সে বিষয়েও পুলিশ নীরব।

 

ফলে প্রশ্ন উঠছে- এভাবে তাকে হত্যা করা হলো কেন? জেল্যান্ড পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবি করেছেন, পুলিশ সেদিন প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০টি জেল্যান্ডের শরীর এফোড় ওফোড় করে দিয়েছে। অসংখ্য গুলিতে যুবকটির মুখমণ্ডলও ঝাঁঝরা হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।


মন্তব্য
জেলার খবর