ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়া লাল হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ অযোধ্যার মহন্ত পরমহংস দাস মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি’র পোস্টার পুড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, অযোধ্যার তপস্বী ছাউনির মহন্ত পরমহংস দাস ওয়াইসিকে দেশবিরোধীও বলেছেন।
বারাবাঙ্কির সিরৌলিতে গিয়েছিলেন পরমহংস দাস। সেখানে উদয়পুরের ঘটনার প্রতিবাদে প্রধান চৌরাস্তায় আসাদ উদ্দিন ওয়াইসির পোস্টার পোড়ানোর চেষ্টা করেন পরমহংস দাস। কিন্তু সেখানে উপস্থিত পুলিশ মহন্ত পরমহংসের হাত থেকে পোস্টারটি ছিনিয়ে নিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। মহন্তের অভিযোগ, উসকানি মূলক বক্তব্য দেন ওয়াইসি।
উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে পরমহংস দাস বলেছেন, আজ পোস্টার পোড়ানো হয়েছে, আগামীতে জীবন্ত পোড়ানো হবে।
শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস এবং দলটির নেতৃত্ব রাহুল গান্ধী-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পরমহংস দাস। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী থাকলেও কংগ্রেস দল কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করে না। তার অভিযোগ, যেসব রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার নেই, সেখানে সামান্য ঘটনা ঘটলেও কংগ্রেস নেতারা প্রতিবাদ শুরু করেন। কিন্তু রাজস্থানে তাদের সরকার থাকলেও এখনও সেখানে যাননি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা।
অন্যদিকে, পোস্টার পোড়ানোর ঘটনার পর পরমহংসকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে জেলার সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানহাইয়ালাল নামে এক ব্যক্তি। তাকে সম্প্রতি হত্যা করেছে দু’জন মুসলিম যুবক। এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ ওই ঘটনার তদন্ত করছে। সর্বস্তরে ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।