ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ

০৫ জুলাই ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন টেংরাকুড়া গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম অর্ধশতাধিক গরীবের ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতে করেছেন। ভিজিডি কার্ডের উপকারভোগীদের নামে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু ১৮ মাস পার হলেও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না উপকারভোগীরা। এমনকি তাদের কাছে কার্ডও হস্তান্তর করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা হচ্ছেন- কাজলা ইউপির টেংরাকুড়া গ্রামের করিম খানের স্ত্রী গোলাপি বেগম (কাজলা ইউপির ভিজিডি কার্ড নং ৭৩), আবুল কালামের স্ত্রী স্বপনা বেগম (ভিজিডি কার্ড নং ৫৯), সাইফুল খানের স্ত্রী চান বানু (ভিজিডি কার্ড নং ৬১), জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরেদা বেগম (ভিজিডি কার্ড নং ৫০), আলিম উদ্দিনের স্ত্রী স্বরভানু বেগম (ভিজিডি কার্ড নং ২০০), মন্টু খানের স্ত্রী আরজিনা বেগম (ভিজিডি কার্ড নং ৭৮) শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম  (ভিজিডি কার্ড নং ২০২), নব্বইয়ের চরের লেবু মিয়ার স্ত্রী স্বপনা খাতুন (ভিজিডি কার্ড নং ২০৩), বেড়াপাঁচবাড়িয়া চরের রাসেল মিয়ার স্ত্রী হিরা বেগম (ভিজিডি কার্ড নং ২০৭)।

ভুক্তভোগীদের একজন গোলাপি বেগম জানান, কয়েক মাস আগে তিনি ভিজিডি কার্ডের জন্য তার ছবিসহ ভোটার আইডিকার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন, তার কার্ডটি পাস হয়নি। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছেন- তার নামে প্রতিমাসে ভিজিডির চাল তোলা হচ্ছে। অথচ তিনি কার্ডটি হাতে পাননি। আরেকজন নূরেদা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ, না খেয়ে থাকি। আর বড় লোকেরা আমাদের চাউল মেরে খায়। এর বিচার মানুষ না করলে আল্লাহ ঠিকই করবেন। আজ পর্যন্ত কোনও চাল সাহায্য পাইনি। স্বপ্না বেগম বলেন, ভিজিডি কার্ডের জন্য আমি টাকাও দিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত টাকা ফিরে পাইনি। আমার নামে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাউল মারে (মেরে) খাইছে।

কাজলা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি তো নতুন চেয়ারম্যান। এ কাজ সাবেক চেয়ারম্যানের হতে পারে। তবে নিজে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর ৪ মাসের চাল তিনিই বিতরণ করেছেন বলে দাবি করেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

দীপক কুমার সরকার/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর