ভোটাধিকার বঞ্চিত করলে ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা কী?

০৫ জুলাই ২০২২

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যদি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তাহলে সেই ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা কী?— এমন প্রশ্ন রেখেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি মনে করেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সদ্য অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের বিশ্লেষণ উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, ইভিএমে বায়োমেট্রিক ছাপ না মেলায় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে অনেকে বিরক্ত হয়ে চলে গেছেন। এখানে ইভিএম মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ইভিএমে ভোট কাস্টের পরিস্থিতি তুলে ধরে সুজন সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছিল ছয়টি আসনে। বাকি ২৯৪টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল পেপার ব্যালটে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ব্যালটের ২৯৪ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৮১ শতাংশ। ইভিএমে ছয়টি আসনে ভোট পড়েছিল গড়ে ৫১ শতাংশ। দুই ধরনের পদ্ধতিতে ভোটের পার্থক্য ৩০ শতাংশ। এর অর্থ— যেখানে পেপার ব্যালটে ভোট হয়েছে সেখানে কারসাজি করা হয়েছে, অথবা যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর