দেশের বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে যে চাল কেনাবেচা হয়, সেটা চালের মিল-কারখানায় ছাঁটাই (পলিশিং) করা বিভিন্ন জাতের চালের বাণিজ্যিক নাম। এ ছাঁটাই করার ফলে জাতভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় চালের পুষ্টিমান। কারণ চালের বাইরের আবরণে পুষ্টিমান বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, কমে যায় চালের পরিমাণও। এমন তথ্যই উঠে এসেছে এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চালের মিলে একটি চালের দানা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করা হয়। এ কারণেই কমে যায় পুষ্টিমান। ৮ শতাংশের কম ছাঁটাই করলে পুষ্টিমানের কোনো ক্ষতি হয় না, বজায় থাকে। এ ধরণের চালে পানির পরিমাণ সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ থাকে।
নিউট্রিশন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অব পলিশড রাইস সোলড ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এ প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশ করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. আব্দুল আলিম। স্বীকৃত ধান ব্যতিত অন্য কোনো নামে চাল বাজারজাতকরণ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, বর্তমানের তুলনায় চাল ছাঁটাই অর্ধেক কমানো গেলে প্রায় ২৫ লাখ টন চাল সাশ্রয় হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুষ্টিমান কমে চালের। চালের মিলগুলো নূন্যতম ৫ শতাংশ পর্যন্ত চাল ছাঁটাই করছে। এতে মিনারেল ও জিংক-আয়রনের মাত্রা একেবারেই কমে যায়, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্রাউন রংয়ের চাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এমকে