ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধে ভোগান্তি বাড়বে

০৭ জুলাই ২০২২

এবার ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলের চলাচল নিষিদ্ধ করায় বহু মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলার কারণেই মোটরসাইকেলের ওপর মানুষের এক ধরনের নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।  ঈদুল আজহার আগে-পরে মিলে সাত দিনের জন্য মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোটরযানের ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল। সরকার গণপরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য বন্ধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ বাস্তবতায় মোটরসাইকেল গণপরিবহন হয়ে উঠেছে। যদিও মোটরসাইকেল কখনো গণপরিবহন কিংবা গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না, হওয়া উচিত নয়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এটি হয়েছে। বিবৃতি বলা হয়, কিছু মানুষ সবসময়ই মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছে। গত ঈদুল ফিতরে মোটরসাইকেলের চলাচল চরম আকার ধারণ করায় দুর্ঘটনা বাড়ে। সে কারণে এবার মহাসড়কে মোটরসাইকেল পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য চাহিদা মতো ও মানসম্মত গণপরিবহন নেই। মানুষ যে কোনোভাবে আপনজনের টানে বাড়ি যেতে চায়। আর এ আবেগকে পুঁজি করে অসাধু পরিবহন মালিকরা  ভাঙাচোরা পরিবহন রাস্তায় নামাবেন, বাড়তি ভাড়া আদায় ও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করবেন। এতেও দুর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার চেয়ে বাস দুর্ঘটনায় বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ রাখায় অনৈতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্র তৈরির আশঙ্কাও রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে কেবল ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকদের নিরাপদ গতিসীমায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ দিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর