ভিজিএফের চাল: দশের পরিবর্তে ছয়-সাত কেজি বিতরণ!

০৭ জুলাই ২০২২

সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে সুফলভোগীদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্ধারিত ১০ কেজির স্থলে ৬-৭ কেজি হারে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ইউনিয়ন পরিষদে এ চাল বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে এ  ইউনিয়নে এক হাজার   ভিজিএফ কার্ডধারীর প্রত্যেককে ১০ কেজি হারে চাল দেওয়ার লক্ষ্যে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ওই ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা নিজেই এ চাল উত্তালন করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ চাল বিতরণ শুরু করা হয়।

গাবী গ্রামের ভিজিএফ কার্ডধারী হাদিস মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে সরকার  আমাদের মতো গরীবদেরকে ১০ কেজি কইরা চাল দিলেও চেয়ারম্যান আমাদেরকে মাত্র ৬-৭ কেজি কইরা চাল দিছে।  শরিশ্যাম গ্রামের কার্ডধারী দিলরুবা আক্তার বলেন, আমারে চাল নেওয়ার লাইগ্যা কার্ড দিলেও সারাদিন অপেক্ষা করার পর বিকালে  মাত্র ৬ কেজি চাল লইয়া বাড়ি গেছি।  আর ওজনে চাল কম দেওয়ার বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

ওই ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে  কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিডির সহকারি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মুনসি চাল বিতরণ স্থলে ছিলেন না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি সাংবাদিকদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।’ সেলবরষ  ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা বলেন, চাল বিতরণের সময় অতিরিক্ত লোকজন চলে আসায় এবং তাদের চাল দেওয়ায় ওজনে সামান্য কিছুটা হেরফের হয়েছে। তবে চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান  জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর