করতোয়া নদী থেকে দুই বন্ধুর লাশ উদ্ধার

০৯ জুলাই ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজ দুই বন্ধুর লাশ ধরমোকাম নামাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার আলাদা সময়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের নাম সামান তাহমিদ (১৮) এবং সাব্বির আহমেদ শিশির (১৮)। শুক্রবার থেকে তারা নিখোঁজ ছিল।

তাহমিদ শেরপুর পৌর শহরস্থ খন্দকারপাড়ার শিক্ষক মোজাফফর রহমানের ছেলে ও শেরপুর শেরউড ইন্টারন্যাশন্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। আর শিশির উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর ফাঁসিতলা এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে ও বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

সকাল ৯ টার দিকে সামান তাহমিদের এবং বেলা দেড়টার দিকে সাব্বির আহমেদ শিশিরর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, সামান তাহমিদ ও সাব্বির আহমেদ শিশির উভয়েই তাদের পিতা-মাতার কাছে থেকে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য ৭ ও ১০ হাজার করে টাকা চায়। চাহিদার তুলনায় অর্ধেক টাকা পেয়ে ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ঘোরাঘুরি করে রাতে তাহমিদের বাসায় ঘুমায় তারা। ৮ জুলাই শুক্রবার ভোরে উঠে শহীদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে খেলতে যায়। সোয়া ৭টার দিকে দুই বন্ধু একই সাথে মাদ্রাসাটি থেকে বের হয়ে যায়- এমনটাই নিশ্চিত করেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরা।

এদিকে দিনভর উভয়ের কেউই বাড়ি না ফেরায়  শুক্রবার রাতে ঘটনাটি পুলিশকে  জানায় তাহমিদের বাবা। পরবর্তীতে শেরপুরের ধড়মোকামপূর্ব পাড়া এলাকার করতোয়া নদীর পাড়ে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধ পায়। তারা দুর্গন্ধের কারণ অনুসন্ধানে নদীর পাড়ে গেলে নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে আরেকটি লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। উভয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

সাব্বির আহমেদ শিশিরের বাবা লুৎফর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তার ছেলে সাব্বির নিখোঁজ ছিলো। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিকেল ৩টার পর আবারও ফোন দিলে ১০-১২ বছরের এক শিশু ফোন রিসিভ করে জানায়, মোবাইল ফোনটি সে আলিয়া মাদ্রাসা’র পেছনে নদীর ধারে পেয়েছে। এরপর মোবাইলটি নিয়ে আসতে বললে শিশুটি মোবাইল ফোনটি তার পৌছে দেন। পরে ছেলে নিখোঁজ বলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা তার লাশ শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পৃথক দুটো অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর