শ্রীলঙ্কায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেষ

১৪ জুলাই ২০২২

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রানিল ভিক্রামাসিংহে বলেছেন, দেশটিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য "যা যা দরকার" তা করার জন্য সামরিক বাহিনী ও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে সদ্য জারি করা জরুরি অবস্থা ভেঙে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে তার অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়লে তিনি এ নির্দেশ দেন।

টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভিক্রামাসিংহে বলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে বিক্ষোভকারীরা তাকে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট গোটাভায়া রাজাপাকশা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পার্লামেন্টের স্পিকার প্রধানমন্ত্রী ভিক্রামাসিংহেকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এই ঘোষণাকে "হাস্যকর" বলে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় একটি টিভি চ্যানেলের অফিসে ঢুকে পড়লে তার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী রনিল ভিক্রামাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার পর পরই তিনি সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। কিন্তু হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়।

তারা ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, জলকামান ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষও হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের চারপাশের দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে যায়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রধান গেট ভেঙে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়।

এসময় তারা সেখান স্লোগান দিয়ে উল্লাস করতে থাকে। অনেককেই মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা যায়।

বিবিসির একজন সংবাদদাতা রজনী বৈদ্যানাথানও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের ভেতরে গিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এটি আরো একটি ব্যতিক্রমধর্মী মুহূর্ত। কদিন আগে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও অফিসের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। খবর বিবিসির।
 


মন্তব্য
জেলার খবর