ছয় ইঞ্চির মোবাইলে সীমাবদ্ধ আজকে শিশুদের পৃথিবী: ডিআইজি মোজাম্মেল

১৫ জুলাই ২০২২

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

শিশুদের সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহী করে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে হাইওয়ে পুলিশ ইউনিট, ঢাকার ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেছেন- আজকে শিশুদের পৃথিবীটা ছয় ইঞ্চির একটি মোবাইলের মধ্যে চলে আসছে। মোবাইলে ভিডিও গেম বা অন্যকিছু দেখে তার সময় কাটছে। এর মাধ্যমে নিজেকে অন্যদের চেয়ে পৃথক করে ফেলছে। এক পর্যায়ে বাবা-মায়ের থেকেও পৃথক হয়ে যাচ্ছে। সন্তান ও বাবা-মার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এ দূরত্ব এক সময় এতটাই বেড়ে যায়, তখন  সেই দূরত্ব কাটানোর জন্য একপর্যায়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এভাবে  সমাজে মাদকাসক্ত, ইভটিজিং, সাম্প্রদায়িকতা, কিশোর অপরাধ এগুলো বেড়ে যাচ্ছে। এসব অপরাধ থেকে সন্তানদের দূরে রাখার জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হলো চিত্রাঙ্কন, মাঠে খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মতো সুস্থ সংস্কৃতি।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটার দিকে পাবনার চাটমোহরের স্থানীয় চিত্রাঙ্কন প্রতিষ্ঠান ‘চিত্রগৃহ চাটমোহর’ পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

ডিআইজি মোজাম্মেল শিশুদের মানসিক বিকাশ নিয়েও কথা বলেন। জানান, আমরা আমাদের সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিথযশা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছি। এ প্রত্যাশাটা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। এ চাপের কারণে তাদের মানবিক মুল্যবোধ ও মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। মানসিক বিকাশের প্রথম স্তর হচ্ছে তার চিন্তাশক্তির স্ফুরণ। চিন্তাশক্তির স্ফুরণে চিত্রাঙ্কনের ভূমিকাও বর্ণনা করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

মোজাম্মেল হক বলেন,  আগে সমাজে ধর্মীয় পরিচয়ের বিষয়টি না থাকলেও এখন সেটা ধীরে ধীরে চলে আসছে। এতে আমাদের মধ্যে থেকে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চাটা ধীরে ধীরে অবলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। আগে স্কুল কলেজগুলোতে প্রতি বৃহস্পতিবার বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক হতো, সেগুলো শেষ। খেলার মাঠে খেলাধূলা হতো, সেটাও শেষ।  

মতবিনিময় সভার আগে চিত্রগৃহ চাটমোহরের পক্ষ থেকে মোজাম্মেল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শিশু শিক্ষার্থীরা। পরে চিত্রগৃহ চাটমোহরের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সঞ্চারী হকের আঁকা মোজাম্মেল হকের একটি ছবি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় চিত্রগৃহ চাটমোহরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমান আসাদ, চিত্র শিল্পী সঞ্চারী হক, সাংবাদিক শাহীন রহমান, এম এ জিন্নাহ, সঞ্জিত চক্রবর্তী সোনাসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

এম.এ জিন্নাহ/মহিদুল খান

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর