শ্রীলঙ্কায় উদ্ভূত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। তিনি তার পদত্যাগপত্রে এ কথা জানান। খবর এনডিটিভর।
এনডিটিভি জানায়, গত শুক্রবার দেশটির পারলামেন্টে রাজাপাকসের পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। এর আগে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কলম্বো শহরে নেমে এলে তিনি প্রথমে তার সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালান। পরে দেশত্যাগ করে মালদ্বীপ এবং সেখানে স্থান না পেয়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট শনিবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
দেশটির পার্লামেন্টের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক হোটাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান। এর আগে পদত্যাগপত্রে কী লেখা আছে, তা জানানো হয়নি।
পত্রে রাজাপাকসে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সংকট বছরের পর বছর ধরে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনায় তৈরি হয়েছে, যা তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ের আগে থেকে সৃষ্ট। এ সংকটের জন্য বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-ও দায়ী, যা শ্রীলঙ্কায় পর্যটক আসা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স কমিয়ে দিয়েছিল।
রাজাপাকসে চিঠিতে আরও বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যে, সংকট প্রতিহত করতে আমি সব সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি, সব সংসদ সদস্য, সব রাজনৈতিক দলকে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
পার্লামেন্ট আগামী মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেবে এবং পরের দিন বুধবার দেশের নেতা নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগ পর্যন্ত ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।