নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বলেছেন, এ জন্য প্রয়োজনীয় সংলাপের সূচনা করা জরুরি। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আর দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান করতে প্রয়োজনে সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে এসব দাবি জানান তিনি। সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলটির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত দিন অনুযায়ী সংলাপে বসে ইসি। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গে সংলাপে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ইভিএম এখন পর্যন্ত জনগণ ও রাজনীতিকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এ কারণে ইভিএম পরিহার করা উচিত। মেশিন যেহেতু মানুষ পরিচালনা করে, তাই সেগুলো ব্যবহারের আগে রাজনৈতিক সমঝোতা জরুরি। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও মন্ত্রণালয় বিশেষত মাঠ প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন চাইলে তাদের যে কাউকে বদলি করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনের কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না— এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
এমকে