মৃত্যু সনদের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত- ১৪

১৪ জানুয়ারী ২০২২

আবু সায়েম আকন, রাজাপুর (ঝালকাঠি) :

ঝালকাঠির রাজাপুরে মৃত্যু সনদে মৃত্যুর তারিখ নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৪ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গালুয়া দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আহতরা হল- গালুয়া দুর্গাপুরের মৃত আব্দুল রশিদ খানের ছেলে সেকেন্দার আলী খান (৭২), সেকেন্দার আলী খানের চার ছেলে রিয়াদ (১৭),ইমন (২৩), ইব্রাহীম (২৮), ইমরান হোসেন (২৪); আমজেদ আলীর ছেলে সালেক (৪৩), মৃত মীর মকবুল আলীর ছেলে মীর মন্টু (৪৫), মজিবর হাওলাদারের স্ত্রী হামিদা (৩০),হামিদ হাওলাদারের ছেলে সবুজ (৩০), শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), শামিম হাওলাদারের ছেলে সাকিব (১৮),দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী রুবি বেগম (৪০), হামেদ হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম (৫০),মোকাম্মেল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মাহবুব এ চিশতী মাসুদ (৫০), মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে দুলাল হাওলাদার (৫০)।  এদের মধ্যে গুরত্বর আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মুজাহার আলী হাওলাদারের মৃত্যু সনদ চেয়ে গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করে শামিম হাওলাদার। কিন্তু তার মৃত্যু তারিখ সঠিক নয় বলে সেকেন্দার আলী খান লিখিত অভিযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদে। তাই সঠিক মৃত্যুর তারিখ নির্ধারণে  স্থানীয় গণ্যমান্য ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পশ্চিম গালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে  ঘটনার দিন বিকালে উপস্থিত থাকতে নোটিশ করেন গালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান। নোটিশ মোতাবেক নিজেদের লোকজনসহ সেকেন্দার আলী ও শামিম স্কুলে উপস্থিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।  স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর