সব দলের অংশগ্রহণে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারো ষড়যন্ত্রের মুখে থেমে থাকবে না। গণতন্ত্রের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এক বিবৃতিতে এমন আশা প্রকাশ করেন।
দেশের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি- কোনো কিছুর প্রতি বিএনপিসহ দেশের একটি চিহ্নিত মহলের কোনো ধরণের আস্থা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘ডিনায়াল সিনড্রোম’-এ ভুগছে। বরবারই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রের পথ বেছে নেয়। সব সময় নির্বাচন ছাড়া হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা চালায়।
সাম্প্রতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা ক্ষমতাকে অবৈধভাবে টিকিয়ে রাখতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করেছিল। দলীয় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদটি পর্যন্ত হাইজ্যাক করেছিল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ ও অসংবিধানিক ঘোষণা দিয়ে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে- যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের মনে করেন, বিএনপি কখনই গণতন্ত্র চর্চা করে না। দল পরিচালনায়ও তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে না। এ কারণে তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বলতে পারে- ‘নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না।’
এমকে