সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জে আদালতের অদূরে আইনজীবী সমিতির সামনে ছুরিকাঘাত করায় খোকন মিয়া নামে এক বিচারপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা। ঘটনায় জড়িত সাহান নামের অপর এক যুবকে পুলিশ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খোকন মিয়া(৫৫) গলাখাল গ্রামের হাজী ফটিক মিয়ার ছেলে। আটককৃতরা হলেন- খোকনের করা মামলার আসামি গলাখাল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও আফরোজ মিয়ার সেবুল মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোকন মিয়ার সাথে আটক ও পালিয়ে যাওয়া মিলে ওই চার ব্যক্তির জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসে আসামিরা। দুপুর দেড়টায় আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়াকে একা পেয়ে ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা।

এদিকে খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হাসপাতালে পাঠালে বেলা ২ টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে, বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন- আইনজীবীদের সহযোগিতায় যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জানা হবে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমকে