সন্ধ্যার পরে পালা করে লোডশেডিং চলছে আর রাত আটটার পর একযোগে দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে। দোকানপাট বন্ধের ফলে রাত আটটার পরে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কমছে, আগের মতো দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মফস্বল শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে চুরি ও ছিনতাইয়ের ভয় বিরাজ করছে, বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। শুধু শহরেই নয়, লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামবাসীর মনেও বাড়ছে চুরির ভয়। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, টার্গেট এবং সুযোগের সমন্বয়ের মাধ্যমে অপরাধ সংগঠিত করে থাকে অপরাধীরা। লোডশেডিংয়ের সময় এ সমন্বয় ঘটাটা সম্ভব। কারণে তখন পরিবেশটা থাকে অন্ধকার। তবে লোডশেডিংকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে পুলিশের তরফ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে সরকার সন্ধ্যার পরে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি দোকানপাট রাত আটটার পরে বন্ধ করার কথা বলে দিয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বাড়তি আলোও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো এমন সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
এদিকে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পর সন্ধ্যার পরে আলোকিত লোকালয়ের বিভিন্ন এলাকা পালা করে নিমজ্জিত হচ্ছে অন্ধকারে। আর এ অন্ধকার নিয়েই ভয় বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কারণ হিসেবে তারা বলছে, আলোকিত অবস্থায় থাকতে থাকতে অভ্যস্থ হয়ে গেছে মানুষ। এখন লোডশেডিংজনিত অন্ধকারে ভীতি কাজ করছে। রাত ৮টার পর সড়কে লোকজনও কম থাকায় প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গেলে ছিনতাইকারী ভীতি থাকে মনে। বাসা বাড়িতেও লোডশেডিংয়ের সময় চুরির ভয় বাড়ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লোডশেডিংয়ের সময় বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে মোবাইল পেট্রোল, ভেহিক্যাল পেট্রোল ও ফুট পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। শিডিউল দেখে যেসব এলাকায় লোডশেডিং হয়, সেসব এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমকে