দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের আশঙ্কা

২৫ জুলাই ২০২২

বর্তমান পরিস্থিতির মতো চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের দিকে যাবে। বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটটাও স্বল্পমেয়াদি নয়, মধ্যমেয়াদি।  অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো ইতিবাচক হলেও পর্যাপ্ত নয়। সরকারি উদ্যোগগুলো স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বণ্টন, রাজস্ব, রেমিট্যান্স, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়েও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমটাই জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।  

রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে এ তথ্য জানানো হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ম তামিম, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।

আইএমএফ’র বরাত দিয়ে ফাহমিদা খাতুন জানান, ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সংকট থাকতে পারে। সেখানে শ্রীলংকার অবস্থা বেশি খারাপ বলা হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ সহজে সংকট থেকে মুক্তি মিলবে না।

সিপিডি জানান, সরকারের বর্তমান ব্যবস্থাগুলো বেশিরভাগই স্বল্পমেয়াদী প্রকৃতির। স্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা, বর্ধিত রাজস্ব উৎপাদন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বৃদ্ধি করার বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ খুঁজে বের করতে হবে।

মূদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে সিপিডি বলছে, সরকার ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির কথা বললেও বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি। বিশেষ করে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর আরও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর