এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালচ্ছে রাশিয়া। প্রায় ৬ মাস হতে চলল এ অভিযান তবুও থামার নাম নেই। ইউক্রেনের অনেক শহর দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটি ছেড়ে পালিয়েছে দেশটির অনেক বাসিন্দা। কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন জানা নেই করো।
এদিকে যুদ্ধ থামার পরিবর্তে নতুন মোড় নিচ্ছে। রাশিয়া দাবি করেছে তাদের কয়েকটি যুদ্ধবিমান চুরির পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেন। দেশটির গোয়েন্দারা সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বিষয়টি রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
ওই গণমাধ্যমটিরে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যাদের মাধ্যমে রাশিয়ার সামরিক বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল, ওই পাইলট তাদের একজন। দেশটি যে কোনো উপায়ে রাশিয়ার অস্ত্র চুরি করতে চেয়েছিল। এ জন্য ইউক্রেনের তরফ থেকে এ পাইলটদের ব্যাপক অর্থের লোভ দেখানো হয়। এমনকি বলা হয়, তাদেরকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্বও পাইয়ে দেয়া হবে। কিন্তু এসব লোভে শেষ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।
আরটি জানিয়েছে, এ জন্য ইউক্রেন বিশেষ এজেন্ট নিয়োগ করে। এ পরিকল্পনায় মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তাদের।
এ পরিকল্পনার আওতায় ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ট্যাংক হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল। বিনিময়ে একজন পাইলটকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেয়ার লোভ দেখিয়েছিল তারা। ওই পাইলট জানিয়েছেন, মূলত রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সু-৩৪ বোমারু বিমান ও টিইউ-২২ বিমানের দিকে বেশি আগ্রহ ছিল ইউক্রেনের।