দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত সরকারি হিসাব বাস্তবতার সঠিক চিত্র নয় বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি জানায়, সরকারি খাতায় খাদ্য-মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বাস্তবতায় নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতিও বেশ বেড়েছে। রোববার (২০ মার্চ) সংস্থাটির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং ও আলোচনায় বিষয়টি জানানো হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারি হিসাবে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মুদ্রাস্ফাতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এটা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম। অথচ খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একটি বাড়লে আরেকটি কমেছে। তাছাড়া খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি। একেকটি পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ১৫, ২০ ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যায়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক জানান, গবেষণানুযায়ী দেশে গড়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকৃত মাথাপিছু আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য ব্যয় বাড়ায় একই সময়ে আয় ৫৩ শতাংশ কমেছে, ৪৬ শতাংশ হয়েছে। আয় বাড়লেও প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে।
এমকে