ধর্মপাশায় অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ

২৭ জুলাই ২০২২

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জে জয়শ্রী ও চামরদানি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে ইজারা দেওয়া ‘মনাই নদী (বদ্ধ)’ জলমহালে বড়জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইজারাদার আমজুড়া শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়ার পক্ষে শামছুল হুদা বাবু নামের একজন পুলিশকে ও শনিবার সোহেল মিয়া নিজেই ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন। অবৈধভাবে মাছ শিকারের জন্য স্থানীয় আটজনকে দায়ী করা হয়েছে।

এদিকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে মধ্যনগর থানা পুলিশ জলমহালটি পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩৫.৪৫ একর আয়তনের ‘মনাই নদী (বদ্ধ)’ জলমাহলটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। গত ৩০ জুন আমজুড়া শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়াকে ১৪২৯-৩১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ২০ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে মধ্যনগর উপজেলার চামরদানি ইউনিয়নের আমজুড়া গ্রামের মজনু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, আব্দুল নূর, নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কাশিকোনা গ্রামের শাহীন মিয়া, দুলাল মিয়া, নূর আলম, আশরাফুল ইসলাম ইজারাকৃত জলমহালের সামনে ও পিছনে বড়জাল ফেলে অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে থাকে। ইজারাদারের পাহারাদার এতে বাধা ও নিষেধ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের ভয়ে ইজারাদারের লোকজন জলমহাল থেকে চলে এসেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

কাশিকোনা গ্রামের অভিযুক্ত শাহীন মিয়া বলেন, ‘কাইল্যানী বিলের ইজারাদারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিল জমা নিয়েছি। গত ৩ বছর ধরে এভাবেই চলছে। কোনো সমস্যা হয় না। এভাবে মাছ শিকারের সুযোগ নেই- এমনটি জানা ছিল না।’

মধ্যনগর থানার এসআই রফিজুল মিয়া বলেন, ‘জলমহাল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদেরকে তাদের কাগজপত্রসহ থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।’

ইজারাদার সোহেল মিয়ার পক্ষে শামছুল হুদা বাবু বলেন, ‘জলমহালের সামনে ও পিছনে বড়জাল দিয়ে মাছ আহরণ করায় জলমহালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাই দ্রুত অবৈধ জাল অপসারণ করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।’

ধর্মপাশা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সালমুন হাসান বিপ্লব বলেন, ‘ভরা বর্ষায় দুই জলমহালের মধ্যবর্তী স্থানে এভাবে বড়জাল দিয়ে মাছ আহরণ করার বিধান আইনে নেই।’

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, ‘ইজারাকৃত জলমহালে যদি কেউ অবৈধভাবে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাদ্দাম হোসেন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর