অধিকাংশ শেয়ারের ক্রেতা নেই। টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও এখন তলানিতে। এর মধ্যে হঠাৎ শেয়ারের দর একটু বাড়লে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ তোলার চেষ্টা করছেন অনেকে, অনেকে ক্রেতা সংকটে সে সুযোগও পাচ্ছেন না। টানা তিন সপ্তাহের এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।
এদিকে দরপতন ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। রোববার (৩১ জুলাই) থেকে এ প্রাইস কার্যকর হবে। ফ্লোর প্রাইসের দর নির্ধারণ হবে সর্বশেষ ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে। নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসটা বিবেচিত হবে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ায় রোববার থেকে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে ওঠানামা করতে পারলেও ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না।
বাজার তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে সূচক। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৬ কোটি টাকা, দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। তার আগের দুই সপ্তাহে মিলে বাজার মূলধন কমেছিল ১৫ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৬৮টির, বিপরীতে কমেছে ২৯৭টির আর অপরিবর্তিত থাকে বাকি ২৪টির। তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ১৪৬ দশমিক শূন্য ১, ডিএসই-৩০ সূচক ৫৫ দশমিক ৫৮ আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট কমেছে। তবে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৩৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এমকে