দাম বাড়লো ইউরিয়ার, কেজিতে ৬ টাকা

০১ অগাস্ট ২০২২

দেশে ডিলার ও  কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানো হয়েছে, কেজিপ্রতি ৬ টাকা। বর্ধিত দামে ডিলার পর্যায়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এ দর। নতুন মূল্য সোমবার (১ আগস্ট) থেকেই কার্যকর হবে।  ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়ার সারের  দাম ৮১ টাকা। ছয় টাকা বাড়ানোর পরও প্রতিকেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এ ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১৫ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অত্যন্ত স্বল্প দামে সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। তাই ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনতে  সরকার ডিএপিতে ভূর্তকি দিয়ে প্রতিকেজি ১৬ টাকা দরে কৃষকদের দিচ্ছে। এতে গত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে হচ্ছে ১৬ লাখ টন। ডিএপির ব্যবহার বাড়ায় ইউরিয়ার ব্যবহার কমার কথা থাকলেও বাস্তবে ইউরিয়ারব্যবহার কমেনি। বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন। এদিকে এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩/৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় চার গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর