রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্য বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থাই তুলনামূলক সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে প্রেস ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়। মুদ্রাস্ফীতি যেখানে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯.৪ শতাংশ, জার্মানিতে ৮.৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৫.৯ শতাংশ, তুরস্কে ৭৮.৬ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৯.৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২১.৩ শতাংশ; সেখানে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। অনেক দেশ অসহনীয় ও আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
দেশের ভেতরে অনেকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ— তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরবর্তী বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। পৃথিবীর ৯০ শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।
এমকে