রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের ওপর। কমছে এ খাতের রফতানি সংক্রান্ত কার্যাদেশ। ফলে এ খাতে সেপ্টেম্বর থেকে রফতানি আয় কমতে শুরু করার আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। এদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) শুরুতেই পোশাক রফতানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ, আয় হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন ডলার। ৩৯৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে এ মাসে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ইপিবির হিসাবে, এ বছর একক মাস হিসেবে জুলাইয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯২ কোটি ডলার। বিপরীতে যে আয় হয়েছে, সেটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাইয়ে আয় হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরে (২০২১-২২) রফতানি আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয় দেশে, ৫২ বিলিয়ন ডলারে বেশি আয় হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করে। ফলে চলতি অর্থবছরে ৬ ডলার বাড়িয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি পোশাকের রফতানি আদেশ কমছে। পরিমাণে ১০ থেকে ২০ শতাংশ। দেশের নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর হিসেবে, গতবছরের জুলাইয়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে এ আদেশ কমেছে কমপক্ষে ১৩ শতাংশ। সংগঠনটির নেতারা মনে করছেন- এখন যে আয় পাওয়া যাচ্ছে, সেটা আগের রফতানি আদেশের ফলাফল। জুলাই মাসে যে আদেশ কমেছে, তার ফলাফল দেখা যাবে সেপ্টেম্বর থেকে।
এমকে