সারের মজুদ পর্যাপ্ত, দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা

০৫ অগাস্ট ২০২২

দেশে বর্তমানে চাহিদার বিপরীতে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই সারের  দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে— বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটর করছে সরকার। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমনটাই জানালেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে  সারের দাম বৃদ্ধি, মজুদসহ সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী।

সম্প্রতি ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এ দাম বাড়ানোর পেছনের কারণও এ সময় জানান কৃষিমন্ত্রী। বলেন, আবাদে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিয়ার ব্যবহার অন্তত ২০ শতাংশ কমিয়ে  যৌক্তিক পর্যায়ে রাখলে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। বরং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে, কৃষকের খরচও কমবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়ার বাইরে নন ইউরিয়া সার ( টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ সব সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৪ গুণ বেড়েছে। কিন্তু দেশে দাম বাড়ানো হয়নি। তাই ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধির প্রভাবে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপিসহ কিছু বাম দলের উদ্বেগ প্রকাশের সমালোচনাও করেন মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বলেন, বিএনপির শাসনামলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। সারের জন্য ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হয়নি। তিনি জানান, বিএনপির সময় সারে ভর্তুকি ছিল মাত্র ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। বর্তমানে ২৮ গুণ বেশি বা ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি কৃষক সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। মন্ত্রী বিএনপির সময়ের এবং বর্তমান সরকারের সময়ে কেজিপ্রতি সারের ভুর্তুকির বিষয়টিও তুলে ধরেন এ সময়।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর