লিটারে ডিজেল-কেরোসিনে ৩৪, অকটেন-পেট্রোলে ৪৬ টাকা বাড়লো দাম

০৬ অগাস্ট ২০২২

দেশের বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ৩৪ আর অকটেন ও পেট্রোলে ৪৬ টাকা। নতুন দর শনিবার (৬ আগস্ট) রাত ১২ থেকে কার্যকর হয়েছে।  তার আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টায় দাম বাড়ানো বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে। জ্বালানি তেলের পরিপ্রেক্ষিতে গণপরিবহনসহ পণ্যবাহী পরিবহনের ভাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ানো না হলেও এর  প্রভাব এ খাতে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন দরে লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকায় কেনাবেচা হবে। নতুন দর কার্যকর হওয়ার আগে প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দর ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা আর পেট্রোলের দর ৮৪ নির্ধারণ ছিল। এর আগে ৮ মাস পূর্বে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বরে জ্বালানি তেলের মধ্যে  ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল।  এ দুই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছিল। তবে এবার সব ধরনের জ্বালানি তেলেরই দাম বাড়ালো সরকার।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পেছনের কারণও জানিয়ে দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। বলছে, বর্তমানে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এ দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো। যৌক্তিকতার বিষয়ে বলছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়। ভারতের কলকাতায়  প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য  ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি এবং পেট্রোল ১০৬ দশমিক ০৩ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দর বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪ দশমিক ০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা (১ রুপি = ১.২৩ টাকা ধরে)। দাম বাড়ানোর আগে  কলকাতার তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেল ৩৪ দশমিক ০৯ এবং পেট্রোল ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছিল প্রতি লিটার। তাই পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো ছিল সময়ের দাবি।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বিপিসি  নিজেদের লোকসান কমাতে বারবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে চাইছিল জ্বালানি বিভাগে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর