বিশ্ববাজারের প্রেক্ষাপটে বাড়তি কিছু করা হয়নি উল্লেখ করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অর্থনীতির স্বার্থেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের আর কিছু করার ছিল না। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমে আসলে দাম আবার সমন্বয় করা হবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শনিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানান। প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জে তার বাসভবনে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দরের ঊর্ধ্বগতিতে সরকার এ খাতে লোকসান দিয়ে গেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন ১৭৩ ডলার ছিল, তখন দাম বাড়ালে লিটার প্রতি ৮০ টাকা বাড়াতে হতো। সরকার তখন বাজার পর্যবেক্ষণ করছিল- নিজেদের অর্থ কতটুকু খরচ করা যায়। কিন্তু এখন বিপিসির পক্ষে আর লোকসান টানা সম্ভব না, ৮ হাজার কোটি টাকার উপরে লোকসান হচ্ছে। তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না। তিনি জানান, বাড়ানোর পরেও ডিজেলে লিটার প্রতি ৮ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আর সেই লোকসান সমন্বয় করতেই অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া পেট্রোলের দাম বাড়ানোর আরেকটি কারণ অকটেনের ভেজাল বন্ধ করা।
এমকে