জুলাইয়ে সড়কে ৭৩৯ প্রাণহাণি

০৬ অগাস্ট ২০২২

চলতি বছরের জুলাই মাসে সারা দেশে সড়কপথে ৬৩২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭৩৯ জন নিহত আর ২ হাজার ৪২ জন আহত হয়েছেন। যানের মধ্যে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল, ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫১ জন, মোট নিহতের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনিবার (৬ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে এ হিসাব রেখেছে সংগঠনটি।

রোড সেফটির হিসাবে, মোট নিহতদের মধ্যে ১০৫ জন নারী ও ১০৯টি শিশু রয়েছে। ১১৮ জন পথচারী, চালক ও তার সহকারি মিলে ১৩৭ জন রয়েছেন। এর বাইরে বাসযাত্রী ৬১ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৫৫ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারযাত্রী ৫৭ জন তিন চাকার যানের মধ্যে ইজিবাইক,সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান, লেগুনা ও মিশুক মিলে ১৪৯ জন; স্থানীয়ভাবে তৈরি যান- নসিমন,ভটভটি,চান্দেরগাড়ি, মাহিন্দ্র ও টমটম মিলে ২৬ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-প্যাডেল ভ্যান আরোহী ২২ জন রয়েছেন।

রোড সেফটি জানায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ১০৯টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৮টি রয়েছে। ১৪৫টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২৭টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৮৬টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৭টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের পরিমাণ ১ হাজার ২১৮টি। এর মধ্যে ট্রাক ১৭৯টি, বাস ১৮৮টি, কাভার্ডভ্যান ২১টি, পিকআপ ৫৬টি, প্রিজনভ্যান একটি, ট্রলি ৯টি, লরি পাঁচটি, ট্রাক্টর ১৪টি, তেলবাহী ট্যাংকার ও ট্যাংক লরি আটটি এবং ১০ চাকার লরি একটি রয়েছে । এর বাইরে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক দুইটি, রেকার একটি, ড্রাম ট্রাক ১৪টি, মাইক্রোবাস ২৪টি, প্রাইভেটকার ২৩টি, অ্যাম্বুলেন্স তিনটি, জিপ একটি, মোটরসাইকেল ৩১৭টি, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-মিশুক) ২২১টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দেরগাড়ি-আলগানন-টমটম-মাহিন্দ্র-ডাম্পার-পাওয়াটিলার) যানবাহন ৮২টি, বাইসাইকেল ১৪টি, প্যাডেল রিকশা ২২টি এবং প্যাডেল ভ্যান ১২টি রয়েছে।

দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সংগঠনটি মনে করছে এগুলো বাস্তবায়ন করলে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব। সুপারিশের মধ্যে আছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ; বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়ানো; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধসহ এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা তৈরি করা এবং পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা।

সড়ক দুর্ঘটনার বাইরে নৌ ও রেলপথে দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান জানিয়েছে সংগঠনটি। বলছে এ মাসে নৌপথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন। আর রেলপথে ২৬টি দুর্ঘটনায় (রেলক্রসিং দুর্ঘটনাসহ) ৪১ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

এমক

 


মন্তব্য
জেলার খবর