রেমিট্যান্স প্রবাহ, রফতানি আয় এবং আমদানি ব্যয়ের প্রভাব ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের অর্থনীতি। করোনা আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবের মধ্যে গেল জুলাই মাসে অর্থনীতির এসব সূচক ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। আমদানি ব্যয় সংকোচন নীতির সুফল হিসেবে কমছে আমদানি ব্যয়। বিপরীতে বেড়েছে রফতানি। সেই সঙ্গে নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতিও।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন দেশে। বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় করলে এর অঙ্ক দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। এ টাকার পরিমাণ একক মাস হিসাবে গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, গত অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে একক মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। রফতানি হয়েছে ৩৯৮ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯২ কোটি ডলার। শুধু তাই নয়, আগের অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে। গত অর্থবছরে জুলাইয়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৪৭ কোটি ডলার। এ ছাড়াও চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জুনে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ওদিকে গেল জুলাইয়ে তার আগের মাস জুনের তুলনায় ১১৭ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি কমেছে। গেল জুলাইয়ে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার, জুনে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৭৭৫ কোটি ডলার। নিষ্পত্তির কমার হার ৯ দশমিক ২৩। অন্যদিকে জুলাই মাসে ৫৫৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। জুনে এর পরিমাণ ছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। এলসি খোলা কমার হার ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে ৬৮৫, ফেব্রুয়ারিতে ৬৫৫, মার্চে ৭৬৭, এপ্রিলে ৬৯৩ ও মে মাসে ৭২৫ কোটি ডলারের এলিস নিষ্পত্তি হয়েছে।
এমকে