দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আয় বেড়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। বিপরীতে ব্যয় সংকোচ নীতি ঠিকঠাক মতো অনুসরণ করায় রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় তিন হাজার ৮০১ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবা ডিটিজাল হওয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কমিশনের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে তিন হাজার ৮০১ কোটি টাকা। ব্যয়ের খাতে ধরা হয় ৭৪২ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ও মূলধনিতে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা ছিল। প্রশাসনিক ও রাজস্ব ক্ষেত্রে ১৮৯ কোটি টাকা, মূলধনিতে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ঋণ পরিশোধ বাবদ ৮৮ দশমিক ১৯ কোটি টাকা মিলে ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ২৯২ কোটি টাকা। বাজেটে সরকারি কোষাগারে ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ জমা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ২৩২ কোটি টাকা। জমা দেওয়া হয়েছে তিন হাজার ৫০৮ কোটি টাকা।
বিটিআরসির আয়ের খাতের মধ্যে ছিল- লাইসেন্স ফি বাবদ প্রায় ১২২ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ফি বাবদ প্রায় এক হাজার ৭৩৯ কোটি, স্পেকট্রাম চার্জ ফি প্রায় এক হাজার ৮৯৯ কোটি, লাইসেন্স অ্যাক্যুইজিশন ফি প্রায় দুই কোটি, অ্যাপ্লিকেশন ও মূল্যায়ন ফি প্রায় ৭৩ লাখ টাকা, প্রশাসনিক ও অবৈধ অপারেশনজনিত জরিমানা প্রায় এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা, বিলম্ব ফি প্রায় ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা, শেয়ার ট্রান্সফার ফি ছয় কোটি ১৫ লাখ টাকা ও অন্যান্য আয় প্রায় ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ১০০ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছিল প্রায় চার হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩১৭ কোটি টাকা।
এমকে