সুইস ব্যাংকে নিজ দেশের নাগরিকদের রাখা অর্থের বিষয়ে তথ্য পেতে করণীয় বিষয়ে জানানো হলেও বাংলাদেশ সরকার এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড। বুধবার (১০ আগস্ট) ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ডিকাব টক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ অনুষ্ঠান হয়।
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। গত ডিসেম্বরে এ ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা ধরে হিসাব করলে পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি। তিনি জানান, এ ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা জমা রাখার তথ্য প্রতিবছর প্রকাশ করা হয়। এ অর্থ অবৈধপথে আয়ের কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার কোনো নিরাপদ স্থান নয়। সুইস ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখতে প্রলুব্ধ করে— এ তথ্য সঠিক নয়।
এমকে