সারা দেশের প্রতিটি ঘরেই বৈদ্যুতিক আলো পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (২১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পটুয়াখালীর পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষে দেশের প্রত্যেকটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার, এটাই সব থেকে বড় সাফল্য। তিনি জানান, ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করবো। প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু করা হয়। আজকের দিনটা যাত্রা সফল হওয়ার দিন। এ জন্য সহযোগিতার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে দেশে শতভাগ দূষণমুক্ত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হলো। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পরবর্তী ২১ বছর এবং ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা সবসময় দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কোনো আন্তরিকতাই তাদের ছিল না। এটাই হচ্ছে দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-২০২২ সাল- ১৩ বছর একটানা তার সরকার ক্ষমতায় থাকায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা ও বাধা এলেও সরকার তা অতিক্রম করেছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে জাতির জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমকে