শেষ ম্যাচে দাপুটে জয় টাইগারদের

১০ অগাস্ট ২০২২

শেষ ম্যাচে যেন নিজেদের চেনাল টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

একের পর এক পরাজয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশ দলের। এর মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছিল জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা। তবে হারারেতে সিরিজের শেষ ম্যাচে কোনো অঘটন হতে দেয়নি বাংলাদেশ। বোলাদের কল্যানে তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে শেষ হলো। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। ক্রিকেট বিশ্বের দশম দল হিসেব বুধবার ৪০০তম ওয়ানডে খেললো বাংলাদেশ। 

 

এদিন হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। জিততে হলে তাই দায়িত্ব নিতে হতো বোলারদেরই। সেই লক্ষ্যে শুরুটা ভালো এনে দেন হাসান মাহমুদ। রান তাড়া করতে নামা জিম্বাবুয়েকে প্রথম ধাক্কা দেন এ পেসার। হাসানের পর দ্বিতীয় ওভারে মিরাজ তুলে নেন আরেক ওপেনার টাডিওনাশে মারুমানির উইকেট। এরপর এবাদত হোসেনও থেমে থাকেননি। ওয়ানডে অভিষেকে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই টানা দুই বলে তিনি নিলেন ২ উইকেট। প্রথমে ইবাদতের ব্যাক অব লেংথে কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধরা পড়েন মাধেভেরে (১)। পরের বলে ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাটে লেগে বোল্ড হন তুমুল ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা। গত দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো রাজাকে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ দেন এবাদত।

 

নবম ওভারে ইনোসেন্ট কাইয়াকে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম। পাওয়ার প্লেতে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সেই চাপ কাটিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।  

 

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩৮ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন ইবাদত হোসেন। ৩৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সমান একটি করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

 

এর ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮১ বলে ৮৫ রান করেন আফিফ হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন এনামুল হক বিজয়। ৭১ বলে তার ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

 

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (তামিম ১৯, এনামুল ৭৬, শান্ত ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, আফিফ ৮৫*, মিরাজ ১৪, তাইজুল ৫, হাসান ০, মুস্তাফিজ ০, ইবাদত ০*, এনগারাভা ১০-১-৫১-১, নিয়াউচি ৬-০-২৪-০, ইভান্স ৮-১-৫৩-২, রাজা ১০-০-৪২-১, কাইয়া ৪-০-১৬-০, মাধেভেরে ৬-০-২৭-০)।

 

জিম্বাবুয়ে: ৩২.২ ওভারে ১৫১ (কাইটানো ০, মারুমানি ১, কাইয়া ১০, মাধেভেরে ১, রাজা ০, মাডান্ডে ২৪, মুনিয়োঙ্গা ১৩, জঙ্গুয়ে ১৩, ইভান্স ২, এনগারাভা ৩৪*, নিয়াউচি ২৬; হাসান মাহমুদ ৮-০-৩৮-১, মিরাজ ২-০-১৬-১, ইবাদত ৮-১-৩৮-২, তাইজুল ৯-০-৩৪-২, মুস্তাফিজ ৫.২-০-১৭-৪)।

 

ফল: বাংলাদেশ ১০৫ রানে জয়ী।

 

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ী জিম্বাবুয়ে।

 

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আফিফ হোসেন।

 

ম্যান অব দ্য সিরিজ: সিকান্দার রাজা।


মন্তব্য
জেলার খবর