ত্রিশের বেশি দিনের মজুত নেই জ্বালানি তেল

১১ অগাস্ট ২০২২

দেশে জ্বালানি তেলের মধ্যে ডিজেলের মজুত আছে ৩০ দিনের, অকটেন ও পেট্রল মজুত আছে ১৮ দিনের। আর দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার ডিজেলে ৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার কারওয়ানবাজারে বিপিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রায় সব ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় প্রতি লিটারে। এর মধ্যে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা, অকেটন ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে ২০১৫-২১ সাল পর্যন্ত সময়ে জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসির লাভ হওয়া ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা গেছে- সে প্রশ্ন তুলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি? শীর্ষক আলোচনায় এ প্রশ্ন তোলেন। রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে সিপিডি'র কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা হয়।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, এ আয়ের মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই টাকার (লাভ) মধ্যে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু সেই হিসাব খুঁজে পাই না আমরা। তিনি জানান, ত্রুটিপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিপিসির আয়-ব্যয়ের হিসাব জনগণের সামনে আসা উচিত।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি- বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা রয়েছে। তাহলে ওই টাকা কোন টাকা? আমার ধারণা বাকি টাকাও বিপিসির হিসাবেই রয়েছে। আর বিপিসির হিসাবে থাকলে কেন লোকসান দেখিয়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হলো। বিপিসি চাইলেই জ্বালানি তেলে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে পারতো। সরকার চাইলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি এড়ানো যেতো। বিপিসি তার হিসাবে স্বচ্ছতা রাখলে বাড়তি এ ব্যয়ের হিসাব সমন্বয় করা যেতো বলেও মনে করেন তিনি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর