ভোলায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

১১ অগাস্ট ২০২২

ভোলা প্রতিনিধি:

নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, তারা ভোগান্তিতে আছেন। অনেকের ঘরে পারি উঠায় রান্নাও চলছে না। জোয়ার এলেই বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ জনপথের মানুষ। ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে আজও নির্মিত হয়নি বিকল্প বাঁধের ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে  প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে ইলিশা ফেরিঘাট ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো।

স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় দিনের মতো জোয়ারে পানি বেড়েছে বৃহস্পতিবার। পানিতে বসতভিটা, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে। অনেকের রান্নাঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলও পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির কষ্ট হচ্ছে। অনেকের ঘরে চুলা জ্বলছে না। পানিতে ভেসে গেছে অনেকের হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত পশু-পাখি। এমন দুর্ভোগে দিন কাটালেও কেউ  খোঁজ-খবর নেয় না। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আটকপাট গ্রামের বাসিন্দা হোসনে বলেন, পানিতে আমাদের বাড়ি ডুবে গেছে। রান্না-বান্না করতে পারছি না। উঠানে পানি উঠেছে অনেক বাড়ির। পানিতে শিশুরা পড়ে গেল কি না- সব সময় ভয়ে থাকতে হয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সাপ আতঙ্ক।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মাসুদ রানা বলেন, জোয়ারের চাপ অনেক বেশি। এতে রাজাপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা প্লাবিত এলাকায় বিকল্প বাঁধ মেরামতের কথা ভাবছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তবনাও পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর